শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, ১১ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৯-১১-২০২৪ ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৯-১১-২০২৪ ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
কনকনে শীতে কাঁপতে শুরু করেছে হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। বাড়ছে শীতের মাত্রা, কমছে তাপমাত্রা। সবশেষ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে জেলাটিতে, নেমেছে ১১ ডিগ্রির ঘরে। ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
পঞ্চগড় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘সামনে পৌষ মাস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।’
ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা নেই। হালকা কুয়াশা ভেদ করে সূর্যকীরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। শীত উপেক্ষা করেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। উত্তরের জেলা পর্যটনের অঞ্চল হওয়ায় প্রচুর পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখার সঙ্গে শীত উপভোগ করছেন।
স্থানীয় হানিফ আলী, সাহের আলী ও মহির উদ্দীন জানান, মনে হয় পৌষ মাস এসে গেছে। পৌষ মাসের মতোই কনকনে ঠান্ডা। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। এ সময় শীতের কাপড় বের করতে হয়। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে। রাতে কম্বল কিংবা কাঁথা নিতে হয়।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স